পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয় ২০২১ সালে। তার দেড় বছর কেটে গেলেও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতায় প্রাণহানীর ঘটনা নিয়ে এখনো সরব রাজ্য বিজেপি। আর সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই তো সাধারণ মানুষের সামনে সেবারের ঘটনা ফলাও করে তুলে ধরছে দলটি। এমনকি, পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রেখে ভারতের খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এসেছে দেড় বছর আগের সেই ঘটনা। একই সঙ্গে মোদীর মুখে শোনা গেলো, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের লড়াইয়ের প্রশংসা।
জানা যায়, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের ফলে একপ্রকার ঝিমিয়েই পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। পতন ঘটেছে কর্মীদের মনোবলেও। ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের কোনো উপায়েই সেভাবে চাঙ্গা করতে পারছে না কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই এবার নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন মোদী। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিল্লিতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনান। এর শুরুতেই সুকান্তকে থামিয়ে দিয়ে মোদী বলেন, বাংলায় যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
মোদী আরও বলেন, বঙ্গের কর্মীদের সংগ্রামের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তাই আমাদের বাংলার কথা শোনা দরকার। আমাদের কর্মীরা সেখানে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তা চলতে থাকবে। এদিকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, সামনেই ভারতবর্ষের ৯ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ৯টি রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা, কর্ণাটকে বিজেপির সরকার আছে। কিন্তু মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে জোট সরকার রয়েছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে বিজেপিকে সবকটিতেই জিততে হবে। এ রাজ্যগুলোতে জিততে পারলে বিজেপির পক্ষে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করা খুব সহজ হয়ে যাবে। তাই তো জেপি নাড্ডা ২০২৩ সালের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে কর্মীদের কোমর বেঁধে মাঠে নামার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।