বর্ণিল আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন বছর ২০২৩ সাল বরণের উদযাপন হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা, সামোয়া এবং কিরিবাসে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রথম অনুষ্ঠান হয়। খবর বিবিসির। পৃথিবীর একেক প্রান্তে ঘড়ির কাঁটা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মধ্যরাত স্পর্শ করার মাধ্যমে ১ জানুয়ারির সূচনা হয়। সে হিসাবে সবার আগে ২০২৩ সালকে স্বাগত জানায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ কিরিবাস।
এর পরে ২০২৩ কে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ড শহরে স্কাই টাওয়ার থেকে আতসবাজি পোড়ানো হয়। এ অনুষ্ঠান দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। এরপর নতুন বছর স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান শুরু হয় অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে, তাছাড়া একে একে কুয়ালালামপুর, ম্যানিলা, তাইপে, সাংহাই, সিঙ্গাপুর, বেজিং ও হংকংয়ের মতো পূর্ব এশিয়ার অনেকগুলো শহরে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ এলাকায় ১০ মিনিটব্যাপী আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
কোভিড মহামারির জন্য অস্ট্রেলিয়ায় এর আগের দু’বছরে অনাড়ম্বরভাবে নতুন বছর উদযাপন হয়েছিল। সিডনির লর্ড মেয়র ক্লোভার মূর বলেছেন, দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে মহামারির প্রভাব এখনও অনুভূত হচ্ছে তবে এ বছরের অনুষ্ঠান গত কয়েক বছরের চ্যালেঞ্জ থেকে মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
অন্যদিকে সবার শেষে ২০২৩ সালের উদযাপন হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে। বেকার আইল্যান্ড ও হাউল্যান্ড আইল্যান্ডের মতো জনবসতিহীন দ্বীপগুলোতে যখন নতুন বছরের প্রথম ক্ষণ শুরু হয় তখন গ্রীনিচ মান সময় রবিবার দুপুর ১২টা।
বাংলাদেশের ঘড়ির কাঁটার সেকেন্ড ১২-তে পৌঁছা মাত্রই রঙিন আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। ফানুস আর আতশবাজিতে মেতে ওঠেন সবাই।