ঢাকার উন্নয়নে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প চলমান

ঢাকা শহরের উন্নয়নে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপিতে ১১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর অনুকূলে মোট বরাদ্দ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। মন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী এসব উন্নয়ন প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২০ হাজার ৫৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ র মধ্যে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া ইভিএম প্রকল্পও রয়েছে। এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে ২৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে।

বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। একে টেকসই করতে হলে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। এ কারণে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিচ্ছে। যাতে আত্ম আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয় উন্মাদনা বা সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়।

মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আরকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূ-খন্ডের অভ্যন্তরে মর্টারের গোলা বিস্ফোরণ, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। তবে মিয়ানমারের উসকানীমুলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আগ্রহী। এ কারণে মিয়ানমারের আচরণের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কূটনৈতিক উদ্যোগের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চারবার তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

ঢাকায় নিযুক্ত আসিয়ান রাষ্ট্রদূতদের জন্য ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে আলাদা করে ডেকে ব্রিফিং করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াংগুন থেকৈ সীমান্তে বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ মিয়ানমার সরকারকে অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *