বাগমারায় ব্যাপক হারে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব

ভবানীগঞ্জ প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় সর্বত্রই চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক পরিবারে একজনের হলে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও মাঝে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে পুরা এলাকায়। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এবং তাদের পরিবারের অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় চোখ চুলকায় এবং পরবর্তীতে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে ও পানি ঝরছে। এতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিষ্ঠানে এসেও অনেকের মধ্যে তাৎক্ষনিক রোগাক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রচণ্ড গরম ও বর্ষায় চোখ ওঠা রোগ বৃদ্ধি পায়। তার মতে, রোগটি ছোয়াচে এবং ভাইরাস জনিত। বাতাসে এই রোগ ছড়ায়। তাই দ্রুত এই রোগ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। সারা দেশেই এই রোগটি বিস্তার লাভ করেছে।

আতংকিত না হয়ে একটু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে সামান্য কিছু ওষুধে চোখের ড্রপ প্রয়োগ করলে রোগটি দ্রুত সেরে যায়। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে চোখ ওঠা রোগটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এই রোগে আক্রান্তে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, মাদ্রাসায় আক্রান্তদের আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। যাতে করে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে অসুবিধা সৃষ্টি না হয়। তবে যাদের এ রোগে সমস্যা হচ্ছে না তাদেরকে চশমা পরে মাদ্রাসায় আসতে বলা হচ্ছে।

ভবানীগঞ্জ ক্লিনিকের পরিচালক ডা: আব্দুল বারী জানান, এটি ভাইরাস জনিত একটি সাধারন রোগ। আক্রান্ত চোখে হাত দেওয়া বা চুলকানো যাবে না। অন্যের সংস্পর্সে যাওয়া থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে কালো চশমা ব্যবহার ও ডাক্তারের পরামর্শে ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। তার মতে স্বাভাবিক ভাবে ৫/৬ দিনের মধ্যেই রোগটি সেরে যায় বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *