রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে নতুন যে শর্ত দিল ইউক্রেন

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে গত আট মাসে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে চারটি অঞ্চল উল্লেখযোগ্য, যেগুলো গণভোটের মাধ্যমে রুশ ভূমির সঙ্গে একীভূত করে নিয়েছে রাশিয়া। এই চার অঞ্চল হল- লুহানস্ক, ডোনেটস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন।

আগে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসতে ইউক্রেন বিভিন্ন শর্ত দিলেও এখন নতুন শর্ত দিয়েছে দেশটি। সেটি হল- রুশ বাহিনী কর্তৃক দখলীকৃত সব এলাকা রুশ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ওই ভূখণ্ড ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব ওলেকসি ড্যানিলোভ এই শর্ত দেন।

এক টুইটার বার্তায় ইউক্রেনকে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবার নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ইউক্রেনের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এমন প্রযুক্তি দিতে হবে যাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশে ওঠার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া যায়।

এর আগে সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তার দেশের জবরদখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড ফেরত পাওয়ার আশা থাকলে রাশিয়ার সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন। সোমবারই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, শান্তি আলোচনার জন্য রাশিয়া প্রস্তুত থাকলেও কিয়েভ বারবার আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে।

গত সেপ্টেম্বরের ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার পর জেলেনস্কি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন তিনি মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হবেন না। ওদিকে রুশ কর্মকর্তারা বারবার বলে এসেছেন, রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করা অঞ্চলগুলো নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না।

সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *