যে কারণে ভাঙছে রাজ-পরীমনির সংসার

বিয়ের এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদের সুর পরীমনির কণ্ঠে। রাজের সঙ্গে আর সংসার করা হবে না—সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই ঢালিউড নায়িকা। দুজনের মধ্যে এখনও আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ না হলেও শিগগিরই ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন পরীমনি। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ সম্পর্কেও ইঙ্গিত দিয়েছেন নায়িকা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরীমনি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’

আরেক অংশে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’পরীমনি এই স্ট্যাটাস মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। লাইক কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। অনেকেই তাদের সম্ভাব্য বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।স্ট্যাটাসের বিষয়ে পরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা স্বীকার করেন পরীমনি। তবে এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে মিডিয়ায় বেশি কথা বলতে চাননি অভিনেত্রী। পরীমনি বলেন, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।’

আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে পরীমনির ভাষ্য, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারলাম না। তার (রাজ) যে আচার-আচরণ তাতে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মানসিক অবস্থা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’পরীমনির বক্তব্যের বিষয়ে রাজের ফোন নম্বরও বারবার কল করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর।

গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। গত চার মাসে তাদের ঘর আলো করে আসে ছেলে সন্তান রাজ্য।ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এক নায়িকাকে ঘিরে সংসারে অশান্তি— এমন ইঙ্গিত দিয়ে কিছুদিন আগে একটি পোস্ট করেন পরীমনি। সেটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরীমনি ও রাজের মধ্যে বেশ কয়েকদিন থেকেই সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। কিছুদিন আগে এ চিত্রনায়িকাই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তা সামনে এনেছিলেন। সূত্র: ইনকিলাব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *