প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) গণমানুষের জন্য উন্মুক্ত হয় মেট্রোরেল। প্রথম দিনে মোট তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকার টিকিট। মেট্রোরেল থেকে দৈনিক আয়ের তথ্য পাওয়া গেলেও ব্যয়ের খরচ এখনও বের করতে পারেনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মেট্রোরেলের দৈনিক খরচের চিত্র পেতে এক মাস সময় লাগবে। মাসে কত টাকার বিদ্যুৎ খরচ হলো, কী পরিমাণে জনবলের বেতন ভাতা দেওয়া হলো- সব খরচ পাওয়া যাবে এক মাস পরে। এরপরেই মূলত দৈনিক ব্যয়ের চিত্র পাওয়া যাবে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএন সিদ্দিক বলেন, ভাড়া দিয়ে মেট্রোরেল লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যাবে না। এজন্য আমরা টিওডি হাব ও স্টেশন প্লাজা নির্মাণ করছি। সেখান থেকে আয় দিয়ে আমরা ট্রেন পরিচালনা করবো। কারণ আমরা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সাবসিটি (ভর্তুকি) দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী থেকে যে আয় আসবে তা থেকে ৩০ শতাংশ টাকা তুলতে পারবো না। কত বছরের মধ্যে ব্যয় তোলা হবে এটা বলা যাবে না। সবাই সিঙ্গেল টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ বেশি পাবো। এছাড়া এমআরটি পাস টিকিটে কাটলে ১০ শতাংশ কম পাবো, কারণ এ টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এক মাস মেট্রোরেল চলাচল করলেই সব আয়-ব্যয় বলা যাবে, এখন কিছু বলা যাবে না। আমাদের বিদ্যুৎ বিল কত টাকা হলো, জনবল বেতন কী পরিমাণে লাগলো তা এক মাস পরেই বলা যাবে।