পাকিস্তানে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ময়দা

পাকিস্তানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ময়দা। অর্থনৈতিক মন্দায় টালমাটাল দেশটির করাচি শহরে ময়দার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে ২০ কেজির এক বস্তা ময়দা ২ হাজার ৪০০ রুপিতে পাওয়া গেলেও, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার রুপিতে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলেছে, পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম ময়দার দাম বেড়ে ২ হাজার ৫০০ রুপিতে পৌঁছেছে। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (পিবিএস) এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) শেষ হওয়া সপ্তাহের মূল্যসূচক অনুযায়ী, করাচিতে বর্তমানে ১ কেজি ময়দার দাম ১২৫ রুপি, যা ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের দামের তুলনায় প্রায় শতভাগ বেশি।

পিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে দেশটির করাচি, হায়দরাবাদ ও কোয়েটায় ২০ কেজির এক বস্তা ময়দার দাম ১০০ রুপি বেড়ে যথাক্রমে দুই হাজার ৫০০, ২ হাজার ৪২০ ও ২ হাজার ৩২০ রুপি হয়েছে। এদিকে বান্নু, লারকানা, পেশোয়ার, ও সুক্কুর শহরে প্রতি বস্তা ময়দার দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৪০, ৫০, ৭০ ও  ৪০ রুপি করে। অন্যদিকে, ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবে ২০ কেজি ময়দার দাম রেকর্ড করা হয়েছে এক হাজার ২৯৫ রুপি।

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুতই কমে যাচ্ছে। এ মাসের প্রথম দিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (এসবিপি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তাদের বৈদেশিক রিজার্ভ ৬.৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ অর্থ দিয়ে মাত্র চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে চীন ও সৌদি আরবের মতো বন্ধু দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে পাকিস্তান।

করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নজিরবিহীন বন্যায় দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়। ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির ব্যাপক দরপতনের পর মূল্যস্ফীতি বাড়ে ২৫ শতাংশের বেশি। ভোজ্যতেল, ডাল-শস্যের দাম দ্বিগুণ হয়। সেই সঙ্গে কমতে থাকে আমদানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক রিজার্ভ।

সূত্র: ডন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *