যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সতর্ক করেছেন এই বলে যে, তার দল খুব বেশি ধৈর্য্য রাখতে পারবে না। সরাসরি সম্প্রচারে তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে ইমরান বলেন, বর্তমান সরকার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে গেছে।
তার ভাষায়, যদি জোট সরকার আমাদেরকে দেয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরে তাহলে জনগণকে ডাক দেয়া ছাড়া আমাদের হাতে বিকল্প থাকবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্রমশ নিম্নমুখী। এতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় দেশ যদি অব্যাহতভাবে ভুগতে থাকে তাহলে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা খুব কঠিন হবে। এ সময় তিনি শিগগিরই নতুন নির্বাচন দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়া সম্পর্কে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সময়ে জাতীয় ঝুঁকির হার ছিল শতকরা ৫ ভাগ। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তখন তা বেড়ে দাঁড়ায় শতকরা ৯ ভাগ। আর বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২২ ভাগ। তিনি এ সময় ক্ষমতাসীন জোট সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, অর্থনীতির ধ্বংস বন্ধ করার কোনোই পথ নেই তাদের সামনে। সরকার বলেছে, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) অর্থ দিলেই অর্থনীতির উন্নতি হবে।
কিন্তু বর্তমানে দেশ রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন পিটিআইয়ের একটিই কাজ। তাহলো পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। যারা সরকারের পদে আছেন, তারা জানেন যে পিটিআইয়ের মেয়াদে যে জনপ্রিয়তা ছিল, তাদের তা নেই। এ সময় ইমরান খান কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। বলেন, তার সরকার বৈদেশিক মুদ্রার ১৬২০ কোটি ডলার রিজার্ভ রেখে এসেছিল। কিন্তু বর্তমানে যে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব তাতে দেশ শ্রীলংকার পথেই ধাবিত হচ্ছে। সূত্র: মানব জমিন