গোবিন্দগঞ্জের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক কনক প্রামাণিক হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে। কনক প্রামাণিকের মরদেহ উদ্ধারের মাত্র ১৮ ঘন্টার মধ্যেই প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার রহস্যের উন্মোচন ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটিসহ আসামীদের গ্রেফতার করার কথা বলা হয়েছে ওই প্রেস রিলিজে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে জাতীয় জরুরীসেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের রামপুর মৌজার রংপুর চিনিকলের বাণিজ্যিক খামারের একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয় একটি ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের ফুল মিয়ার পুত্র কনক প্রামাণিক (১৯) হিসেবে সেখানেই মরদেহের পরিচয় সনাক্ত হয়।

পেশায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক কনক ৬ দিন পূর্বে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানানো হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানায় সেদিনই মামলা করেন মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে গাইবান্ধার সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহার নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল প্রযুক্তির সহায়তায় স্থানীয় এলাকা ও রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। মাত্র ১৮ ঘন্টার অভিযানে পুলিশের এই বিশেষ দলটি ইজিবাইক চালক কনক প্রামাণিক হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত তিন আসামীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার রামপুরা সরকারপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে হেলাল মিয়া (২২) ও দেলাল মিয়া (২০) এবং ক্রোড়গাছা গ্রামের ফেরদৌস মন্ডলের ছেলে সৌরভ মন্ডল (২০)। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনিয়ে নেয়া অটো ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাঁধা দেয়ায় চালক কনককে গলাটিপে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার জন্য আজ সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে প্রেস রিলিজে জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *