ইউক্রেনে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার পুতিন সরকার। রাজধানী কিয়েভে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়াকে ইরানের বিস্ফোরক ড্রোন সরবরাহ, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন। কিয়েভ ছাড়াও সোমবার দেশটির আরও দুটি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে দেশটির শত শত গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেনেরর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২২৩১, ড্রোন সরবরাহ করে লঙ্ঘন করেছে ইরান। ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই রেজোলিউশনটি ইরানের কিছু সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ করে। ইউক্রেন ড্রোনগুলোকে চিহ্নিত করেছে। এগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) -কে ইরানি শাহেদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোন বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন ‘এটি আমাদের ধারণা যে এই ইউএভিগুলো ইরান থেকে রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করেছে সেগুলো। সেই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এসব যা ২২৩১ এর অধীনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে’।