আগামী দিনের বাংলাদেশ কোন পথে যাবে রাজপথেই তার ফয়সালা হবে: মিনু

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী দিনের বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, রাজপথেই তার ফয়সালা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা রাসিকের সাবেক মেয়র ও এমপি জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সবার অংশগ্রহণে স্বৈরশাসক বিরোধী এই মহা দুর্নীতিবাজ সরকারকে পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন।

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক পাকিস্তানী আর্মির হাত থেকে তার ছাত্রদের বাঁচানোর জন্য বলেন, আমি প্রফেসর জোহা বলছি। পাকিস্তানী আর্মিরা উনাকেও ছাত্র মনে করেছিল। পরিচয় জানার সাথে সাথেই পাকিস্তানী আর্মিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। আমরা আশাবাদী। আমাদের হাজার হাজার কর্মী লক্ষ লক্ষ কর্মী ত্যাগ স্বীকার করেছে জীবন দিয়েছে। তিনি বলেন, আমিতো খুশি হবো সামনের আন্দোলনে যদি হাসিনার উত্তপ্ত বুলেট আমার বুকে যদি লাগে এবং শাহাদত বরণ করি তাহলে আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া আদায় করি।

এতো জুনিয়র বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা যেখানে জীবন দিচ্ছে অবশ্যই আমরা থাকবো। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত মতবিনিময় উপস্থিত রাবির শিক্ষক ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন-এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, রুমিন ফারহানা এমপি, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবিবা, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সাংবাদিক আলী মাহমুদ, সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর রফিকুল ইসলাম, রুয়েট শিক্ষক ডক্টর প্রফেসর এস এম আবদুর রাজ্জাক, রাবি কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর ফজলুল হকসহ রাজশাহী বিভাগের বিশিষ্ট সুধী সমাজ, স্থানীয় রাজনৈতিক এবং সামাজিক নেতৃবৃন্দ, রাবি ও রুয়েট শিক্ষক, আইনজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথি ও নেতৃবৃন্দ মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। গতানুগতিক আন্দোলন করে কোনো লাভ হবেনা। কারণ এই সরকার ভোটহীন ভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণের নিকট এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নাই। বিধায় তাঁকে বিতারিত করতে গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হতে হবে। দেশবাসীকে আন্দোলনে শরীক করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, শুধু এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলে হবে না। সরকারের মূল দোসর বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বাদ দিয়ে নতুন করে জনগণের নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশের সকল ধরণের মিডিয়াতে দলীয় কর্মসূচী গুলো ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসাথে আইন শৃংখলাবাহিনীর সাথে লবি ও এডভোকেসী করতে হবে। এছাড়াও দলের মধ্যে নেতার ছড়াছড়ি হয়ে গেছে। নেতা কমিয়ে, কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং যুগোপোযোগি আন্দোলন গড়ে তুলতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য মিডিয়া সেলকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার পরামর্শম দেন তাঁরা। সেইসাথে এক কক্ষ ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ নিয়ে কথা বলেন অতিথিবৃন্দ।

অতিথিবৃন্দ আরো বলেন, দেশের অবস্থা বর্তমানে খুন খারাপ। এদিকে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতি এবং অন্যদিকে রিজার্ভ ফান্ড কমে যাওয়ায় ব্যাংক সমূহে আর্থিক সংকট বেড়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানীতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জনগণ অত্যন্ত খারাপ সময় পার করছে। যে কোন সময়ে দেশের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এরজন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী এই বিনা ভোটের সরকার। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি গাড়ি তৈরী করেছে। এখন আবার সব থেকে জালিয়াত ও চুরির যন্ত্র ইভিএম মেশিন ক্রয় করার জন্য নির্বাচন কমিশনার উঠেপড়ে লেগেছে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বাজেট চেয়েছেন। এই টাকা কোন ভাবেই যেন ছাড় না সে ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *